হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরাইল হচ্ছে একটি অশান্তি ও সংকট সৃষ্টিকারী , দখলদার সন্ত্রাসী যালেম রাষ্ট্র। সন্ত্রাস , জোর জুলুম , রক্তপাত , খুনখারাবি , ধ্বংসযজ্ঞ , লুটপাট , ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা ও তাদের নেতাদেরকে গুপ্ত হত্যা , যুদ্ধ ও আগ্রাসনের মধ্য দিয়েই এ অবৈধ - বর্ণবাদী মেকি কৃত্রিম রাষ্ট্রটির গোড়াপত্তন হয়েছে এবং এখনও এ সব অপকর্ম ও অপরাধ ইসরাইল করেই যাচ্ছে । আর এটি সম্পূর্ণ ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত ভবিষ্যতেও এ সব অপকর্ম ও অপরাধ করেই যাবে । (আইলেত শাকেদ)
২০১৪ সালে গাযা - ইসরাইল যুদ্ধ চলাকালে তদানীন্তন ইসরাইলী সংসদ সদস্য ও পরবর্তীতে ইসরাইলের আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইলেত শাকেদের এই জঘন্য আহ্বান এবং ইসরাইলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গত বছরের অক্টোবরে ( ২০২১ সাল ) আরব আমিরাত সফরে গিয়েও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করা থেকে প্রমাণিত হয় যে ইসরাইল নিজের পাশে এমনকি উচ্ছিষ্ঠ ভোগী ক্ষুদ্র
,
দুর্বল , দারিদ্র্য ক্লিষ্ট অনগ্রসর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্বও মেনে নিতে মোটেও ইচ্ছুক নয়
। তাই সমগ্র ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ইসরাইলের দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত ও উদ্ধার করার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ সংগ্রামের কোনো বিকল্প নেই । আর বিশ্ব আল কুদস দিবস হচ্ছে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ ও শান্তি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করত নিরবচ্ছিন্ন মুক্তি সংগ্রাম ও প্রতিরোধ আন্দোলন এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির মূর্ত প্রতীক ।
আর যে সব আরব দেশ ইসরাইলের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন , সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ ও শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বা করতে যাচ্ছে তারা আসলে ইসরাইলের সেবা দাস । আর তা না হলে কিভাবে এই যায়নবাদী ইহুদী শাকচুন্নী পেত্নীটা এ ধরণের ঘৃণিত আহবান ও এত বড় জঘণ্য উক্তি
করার ধৃষ্টতা প্রদর্শন করতে পারল এ সব কুলাঙ্গার আরবের সামনে ? তাই যে সব আরব ও মুসলিম রাষ্ট্র ইসরাইলের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে বা করতে যাচ্ছে সেগুলোর সবই হচ্ছে মেরুদণ্ড হীন আত্ম মর্যাদাবোধ হীন বিশ্বাসঘাতক ( খিয়ানত কারি ) । আর এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আল কুদস দিবস উদযাপনের গুরুত্ব ও যৌক্তিকতা ।
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
৩০ রমযান ১৩৪৩ হি .
آپ کا تبصرہ